কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

সমালোচনার মুখে কক্সবাজারে ‘নারী ও শিশু জোন’ প্রত্যাহার

সারাদেশে তুমুল সমালোচনার বন্যা বইয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা জোন উদ্বোধন হয়। তবে উদ্বোধনের পরে একদিনও টেকেনি এই ‘নারী ও শিশু জোন’। একদিনের মধ্যেই কক্সবাজারে আলোচিত ‘নারী ও শিশু জোন’ প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে একইদিন বুধবার দুপুরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ৬০০ ফুট দীর্ঘ এ জোন উদ্বোধন করেছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

উদ্বোধনের সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বলেন,  ‘এ জোনে নারী-শিশুরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। নির্বিঘ্নে সমুদ্রে গোসল করতে পারবেন। পুলিশ ও বিচকর্মী এ জোনের নিরাপত্তায় কাজ করবে।’

এছাড়াও উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছিলেন, ‘সৈকতে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নারী ও শিশুরা। এবার সেই ঝুঁকি কমবে। পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই কাজ করছি। জনবল কম হলেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাব।’

  1. এছাড়াও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ পর্যটনকে আরও বেগবান করবে।’

তবে কক্সবাজারে এই জোন সারাদেশে উদ্বোধন পর থেকেই আলোচিত হতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে সবখানেই এর সমালোচনা দেখা যায়। অনেকেই রম্য করে লেখেন, ‘হানিমুনে গেলে কি স্ত্রী নারী জোনে থাকবে?’

তবে রম্য হোক বা যাই হোক, কক্সবাজারের এই নারী-শিশু আলাদা জোনের তিব্র নিন্দা অনলাইনে দেখা গেছে। দেশের প্রগতিশীল মানুষ, লেখকরা এমন সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষন করেন। তাঁরা এ বিষয়টিকে লিঙ্গ বৈষম্য হিসেবে দেখেন।আইনিউজ

পাঠকের মতামত: